মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার, জাংগালিয়া, কুমিল্লার কার্যক্রম সুনাম ও দক্ষতার সাথে ১৯৭৭ খ্রিঃ থেকে শুরু হয়। এটি ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ের পাশে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের কাছাকাছি এবং বিভাগীয় উপপরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগ ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, কুমিল্লার মৎস্য ভবন সংলগ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় অবস্থিত। খামারটির মোট আয়তন ২.৪৩ হেক্টর। খামারটিতে মোট ০৯ টি পুকুর রয়েছে যার জলায়তন প্রায় ১.৩৩ হেক্টর। অত্র এলাকায় মাছচাষের ব্যপক প্রসারে খামারটির গুরুত্ব অপরিসীম। গুনগত মানসম্পন্ন রেনু ও পোনা উৎপাদন করে অত্র এলাকার চাষীদের মধ্যে সুলভ মূল্যে বিতরণ করে মৎস্যচাষকে ব্যাপক জনপ্রিয় করতে খামারটির ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের কার্যক্রম যেমন ব্রুডব্যাংক প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাকৃতিক উৎসের রেণু থেকে উন্নত কৌলিতাত্তিক মানসম্পন্ন ব্রুড উৎপাদন করে হ্যাচারী মালিকদের মধ্যে বিতরণ করা, গলদা চিংড়ির চাষ সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে পিএল ও জুভেনাইল উৎপাদন করে চাষীদের মাঝে সুলভে বিতরণ করা ইত্যাদি কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে খামারটিতে গুনগত মানসম্মন্ন রেণু ও পোনা উৎপাদন এবং প্রাকৃতিক উৎসের ব্রুড উৎপাদন কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৪ সাল থেকে গলদা চিংড়ির পি.এল এবং জুভেনাইল উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গলদা চিংড়ি পিএল ও জুভেনাইল উৎপাদন এবং চাষীদের মাঝে তা ব্যাপকভাবে প্রসার ঘটানো মৎস্য অধিদপ্তরের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জে সফল হওয়ার ক্ষেত্রে জাঙ্গালিয়া খামার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করা যায়। এছাড়াও মৎস্য সম্প্রসারণ কার্যক্রমের মাধ্যমে নিয়মিত চাষীর পুকুর পরিদর্শন, পরামর্শ প্রদান করে দক্ষ মৎস্যচাষী তৈরী ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে এ খামার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। বিগত বছরগুলোতে এ খামার সফলতার সাথে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে এবং সামনের দিনগুলোতেও তা সফলতার সাথে অব্যাহত রেখে মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ত্বরান্বিত করতে সচেষ্ট থাকবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস